প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে সেখানকার অভিবাসীরা পড়েছেন বিপাকে।
সেই রেশ ধরে সম্প্রতি সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী সেলিনা গোমেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওতে কাঁদতে দেখা যায় সেলেনাকে। তবে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানেই ভিডিওটি রিমুভ করেন তিনি। এরপর অনেকে তাকে খোঁচা দিয়ে মেক্সিকো ফিরে যাওয়ার পরাপর্শ দেন। এবার সেলেনাকে জবাব দিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৩১ জনুয়ারি) দ্য হোয়াইট হাউসের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলের একটি ভিডিও শেয়ার করেন ট্রাম্প। ভিডিওটিতে তিন নারীকে দেখানো হয়। দাবি করা হয়, তিন নারীর সন্তান অবৈধ অভিবাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন।
ভিডিওটিতে এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘ভিডিওটি দেখার পর সেটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, কারণ, তিনি অভিনেত্রী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সন্তান হারিয়েছি, যে শিশু ছিল। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে হাজারো মা সন্তানহারা হয়েছেন।’
ভিডিওতে নাম না করলেও এটা যে সেলেনা গোমেজকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, সেটা পরিষ্কার।
গত সপ্তাহে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করা ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে সেলেনাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুবই দুঃখিত। অনেকে হামলার শিকার হচ্ছেন, শিশুদের ওপরও আক্রমণ হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না কী করবো। যদি আমি কিছু করতে পারতাম! কিন্তু আমি কিছু করতে পারছি না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, আমি প্রতিজ্ঞা করছি।’
ট্রাম্প সমর্থকদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন সেলেনা। এরপর ‘অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং’ খ্যাত তারকা আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মানুষের প্রতি সহানুভূতি দেখানো ঠিক নয়।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি একজন তৃতীয় শ্রেণির মেক্সিকান-আমেরিকান।
এই পোস্টের পর আবারও সেলেনাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি সেই পোস্টও সরিয়ে ফেলেন।
এর আগেও ট্রাম্পের অভিবাসননীতির কড়া সমালোচনা করেছেন সেলেনা। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন অধিকার নিয়ে সোচ্চার। এমনকি এর উপর ভিত্তি করে তিনি ২০১৯ সালে ‘লিভিং আনডকুমেন্টেড’ নামে একটি নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি তৈরি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে থিতু হয়েছে। ১৯৭০ সালে তার দাদা-দাদি ও ফুফু সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ট্রেক্সাসে বসবাস করা শুরু করেন।