নাটোরে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার এজাহারনামীয় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (২৭ মে) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৫। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. নয়ন (২৮)। সে বড়াইগ্রাম উপজেলার খোর্দ্দকাছুটিয়া এলাকার মো. রায়হানের ছেলে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ৯টার সময় বড়াইগ্রাম উপজেলার খোর্দ্দকাছুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে মেজর হাসান মাহমুদ আরও জানান, ভিকটিম চলতি মাসের ১৮ মে সকাল ৭টার দিকে অভিমান করে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে। ঢাকা যাওয়ার পরে ভিকটিম নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় বাড়ি ফেরার জন্য ওই বাসেই বসে থাকে। এ সময় মামলার ২নং অভিযুক্ত মো. ফরিদুল (২৮) এর সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই দিন রাত ১১টার সময় বনপাড়া বাইপাসে বাস থেকে ভিকটিমকে নামিয়ে ফরিদুল বড়াইগ্রাম উপজেলার খোর্দ্দকাছুটিয়া বাবুল মোল্লার ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নয়নসহ এজাহারনামীয় অন্যান্য অভিযুক্তরা ভিকটিমকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ভূট্টাক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার পরের দিন ১৯ মে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য সিপিসি-২, নাটোর, র্যাব-৫ বরাবর আবেদন করলে র্যাব অভিযানে নামে। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজাহারনামীয় প্রধান অভিযুক্ত নয়নকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খোর্দ্দকাছুটিয়া গ্রামের খেজুরতলা মোড়ের একটি মুদি দোকানের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নয়নকে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।