রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিএনপির সময় তাদের অর্থমন্ত্রী বলতেন খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশের সাহায্য পাব না। বিদেশের সাহায্য পাওয়ার জন্য আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হব না, এটা কোনো যুক্তির কথা? এ সমস্ত যারা চিন্তা করেছে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজবাড়ীর অফিসার্স ক্লাব মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা ভালো আছি। আপনারা রাজবাড়ীর মানুষ কোনো সময় চিন্তা করেছেন ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার কমলাপুরের পৌঁছাতে পারবেন? কোনো সময় আপনারা চিন্তা করেননি। এখন আপনারা বাস্তবে যাচ্ছেন। অনেক স্বপ্নই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের পূরণ হয়েছে। আজকে ঢাকায় মানুষ মেট্রোরেলে চড়তে পছন্দ করে। ১০ মিনিটেই মেট্রোরেলে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া যায়। আজকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসতে উঠলে মনেই হবে না আমরা বাংলাদেশে আছি। এই উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের অনেক দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা, ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়ার জন্য, এগিয়ে নেওয়ার জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, সোনার বাংলা হবে। বঙ্গবন্ধুর যে চাওয়া, এই দেশটাকে স্বাধীন করার যে মর্ম এর সুফল আমরা ভোগ করতে পারব।
আড়ও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম টিটন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ আহম্মেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল মাস্টার প্রমুখ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস ও রাজা সূর্য কুমার ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক চায়না রাণী সাহার সঞ্চালনায় এ সময় স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মোরশেদা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রুপা রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলমসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রেলমন্ত্রী। এরপর বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।