টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় নিজের রান্নাঘর থেকে আবদুস সামাদ নামে এক কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন নিহত আবদুস সামাদের ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা পশ্চিমপাড়া (বিন্নরীপাড়া) এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, বাবাকে হত্যা করে ওয়াহেদুজ্জামান গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের ছোট ভাই আবদুর রশিদ বাদী হয়ে ভাতিজা ওয়াহেদুজ্জামানকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে আবদুস সামাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ছেলে ওয়াহেদ মাদকাসক্ত। আগেও তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করেছেন। সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতেই দেখা গেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত কোনো কারণে ওই ছেলেই আবদুস সামাদকে আঘাত করে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে গেছেন।
সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, নিহতের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পলাতক ছেলেকে ধরার চেষ্টা চলছে।