মিরপুরে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ মানেই আলোচনায় উইকেটের চরিত্র। আজ (শুক্রবার) শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের আগেও আলোচনায় সেই উইকেট। উইকেটের আলোচনায় বাড়তি ঘি ঢেলে দিল এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচ। সেই চিরাচরিত মন্থর আর স্পিন ট্র্যাক। উইকেটের আলোচনা পাশ কাটিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য দারুণ শুরু করেছে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
শুক্রবার শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সাকিব আল হাসানের বরিশাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম। দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট এবং ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। এতে পূর্ণ ২ পয়েন্ট নিয়ে এবারের আসর শুরু করল ৩ মৌসুম পর বিপিএলে ফেরা বরিশাল।
করোনাভাইরাসের কারণে দর্শক শূন্য গ্যালারিতে ১২৬ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে বরিশালের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিরাজের করা তৃতীয় বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফুলার লেন্থের বলটি পড়তে পারেননি শান্ত। আঘাত করে মিডল আর লেগ স্টাম্পের মাঝামাঝি। ১ রান করে ফেরেন শান্ত, খেলেন ৬ বল।
সৈকত আলি আর সাকিব দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এবারও ঝুলিয়ে দিয়ে সফল মিরাজ। ফুলার লেন্থে পড়ে ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলটি টেনে বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেন সাকিব, সেটি ব্যাট ফাকি দিয়ে সরাসরি আঘাত করে স্টাম্পে। সাকিব ফেরেন ১৭ বলে ১৬ রান করে। এতে দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙে ২৫ রানের পার্টনারশিপ। ইনিংসের ১২তম ওভারে তৌহিদ হৃদয় মুকিদুল ইসলামের বলে ১৬ রান করে আউট হলে কিছুটা বিপদে পড়ে বরিশাল।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা ওপেনার সৈকত আলিকে ফিরে ম্যাচের মোমেন্টার ফেরানোর চেষ্টা করেন মিরাজ। সৈকত ৩০ বল খেলে ৩৯ রানে আউট হলে মিরাজের করা পরের বলেই লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন ইরফান শুক্কুর। আউট হন ১৬ রান করে। পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান সালমান হোসেন শূন্য রানের মাথায় রান আউট হলে খানিক বিপদে পড়ে বরিশাল। তবে সে বিপদ বাড়তে দেননি ব্রাভো ও জিয়াউর।
দুজনের হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই হয় তুলে নেয় বরিশাল। ৪ উইকেটে পাওয়া জয়ে ব্রাভো ১২ এবং জিয়া ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান নিয়ে মিরাজ একাই নেন ৪ উইকেট। মুগ্ধর দখলে ১ উইকেট।