পদ্মা সেতুর নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন সেতু উদ্বোধনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।
সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো দেখে বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
পলিটিক্যাল হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকা বিএনপি মহাসচিব একের পর এক মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু দেখে বিএনপি অন্তর জ্বালায় ভুগছে, এ সত্য স্বীকার করে নেয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই।
‘পদ্মা সেতু নির্মাণে লুটপাট হয়েছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে বিএনপি বার বার লুটপাটের অভিযোগ করে যাচ্ছে, যে টা কাল্পনিক। এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকৃত মস্তিষ্কের নতুন আবিষ্কার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আবারও স্পষ্ট করে বলছি, শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির যে কাল্পনিক অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ তাকে দিতে হবে। যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচারের জন্য ফখরুল ইসলামকে ক্ষমা চাইতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিলো। এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছিল, পরবর্তীতে কানাডার আদালত তা নাকচ করে বাংলাদেশকে নির্দোষ রায় দিয়েছেন। তার পর বিশ্বব্যাংকই স্বীকার করছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে। এর পরও বিএনপি মহাসচিব পদ্মা সেতুর স্বচ্ছতা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন, এটা দুঃখজনক।