আগামী ৬ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১৩ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ বছরে যথাসময়ে এ পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,এবার সারাদেশে ৯টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী। দুই হাজার ৬৪৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৯ হাজার ১৮১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ২০২২ সালের সংশোধিত ও পুর্নবিন্যাসকৃত সিলেবাসে ২ টি আবশ্যিক, ৩ টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এবং ৪র্থ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি)/ এইচএসসি ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষা ) পরীক্ষা ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেষ হবে। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার এইচএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা না নিয়ে তা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেওয়া হবে।
এতে আরো জানানো হয়,দৃষ্টিú্রতিবন্ধী,সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী সক্রাইব(শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।