হবিগঞ্জে মানহানি ও প্রতারণার মামলায় চিত্রনায়ক শাকিব খানকে দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটের অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে রিভিশন করা হয়েছে।
রবিবার মামলার বাদী ইজাজুল মিয়া হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেনের আদালতে এ রিভিশন করেন। পরে আদালত তা গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের মূল নথি তলব করেছেন।
রিভিশন মামলা শুনানিকালে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। চিত্রনায়ক শাকিব খান প্রতারণা ও মানহানি মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। তাকে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দিলেও নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান তা গ্রহণ করেননি।’
বাদী পক্ষের মূল আইনজীবী অ্যাড. এম এ মজিদ বলেন, কিসের ভিত্তিতে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে মামলার দায় থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট নয়। তাছাড়া সাধারণত যে কোনো মামলার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে তা পুনঃতদন্তের আদেশ দেয়া হয়। শাকিব খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান নারারি আবেদন গ্রহণ করে মামলাটির পুনঃতদন্তের আদেশ দেননি। নারাজি আবেদন না মঞ্জুর করে রাজনীতি সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে আসামি শ্রেণিভুক্ত করে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে ম্যাজিস্টেট আদেশ জারি করেছেন। যা বাদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার সামিল বলে মন্তব্য করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।
হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেন আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ফৌজদারি রিভিশন গ্রহণ করেন এবং নিম্ন আদালতের মূল নথি তলব করেন।
রাজনীতি সিনেমায় চিত্রনায়ক শাকিব খান চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্যে করে পূর্ণ ডিজিটের একটি মোবাইল নাম্বার বলেন। যে মোবাইল এর মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচং এর সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়ার। এরপর থেকে ইজাজুল মিয়াকে শাকিব খান ভেবে অসংখ্য ভক্ত ফোন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তা বিড়ম্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ইজাজুল মিয়া।
মামলাটি হবিগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ আলম তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমদকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হয়। নায়ক শাকিব খানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহানের দেয়া ওই অব্যাহতির আবেদনের বিরুদ্ধে রবিবার রিভিশন মোকাদ্দমা দায়ের করা হয়।