আনতারা রাইসা : কিছুদিন আগেই ভারতের এক বিখ্যাত সংগীত শিল্পীর মহাপ্রয়াণ দিবস গেল। তার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩২ বছর। তবু তিনি অমলিন। চির ভাস্বর। বাংলা তথা দেশের সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মনের মণিকোঠায় তাঁর স্থান চিরকালীন । তিনি আর কেউ নন। আমাদের কিশোর কুমার। আমাদের হৃদয়ে তিনি আজও কিশোর । তার ছোঁয়া প্রতিটি সঙ্গীত প্রেমীর হৃদয়ে চিরশাশ্বত হয়ে রয়ে গিয়েছে। তিনি মূলত আমাদের কাছে পরিচিত তার প্লে ব্যাক গান গুলির জন্য। তার গান সম্পর্কে তো অনেক জানেন কিন্তু তার জীবন সম্পর্কে আপনি জানেন কি? আজ তুলে ধরব এমন কিছু তথ্য যেটা আপনাকে হয়তো এক নতুন কিশোর কুমারকে চেনাবে।
১। তিনি ছিলেন গাইতে গাইতে গায়েন। তার সঙ্গীতের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না।
২। শিশু কালে তার গানের গলা খুবই বাজে ছিল। তার এই বাজে গলার জন্য তাকে অনেক বিদ্রূপের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
৩। তার জনপ্রিয় গান ‘পাঁচ রুপাইয়া বারো আনা’ তার জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। কিশোর কুমার ইন্দোর এর ক্রিশ্চিয়ান কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সেখানের ক্যান্টিন এ তার এখনও এই পরিমাণ টাকা বাকি।
৪। কিশোর কুমার তার সিগন্যাচার ব্ল্যাক কোট এর জন্য পরিচিত। তিনি কখনও তার কোট খুলতেন না কারণ তিনি তার চিকন শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতেন।
৫। তার ওয়ার্ডেন রোডের ফ্ল্যাটের দরজায় তিনি একসময় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখতেন এই লিখে যে “ কিশোর কুমার থেকে সাবধান”
৬। প্রযোজক দের কাছ থেকে টাকা না পেলে তিনি প্রায় ই তার গোঁফের কিছু অংশ কেটে ফেলতেন।
৭। কিশোর কুমার সত্যজিত রায়ের চারুলতা চলচ্চিত্রের জন্য কোন ও সম্মানী নেন নি।
৮। তার বিখ্যাত গান ‘ খাইকে পান বানারাস ওয়ালা’ গানটিতে নিখুঁতভাবে গাওয়ার জন্য এবং এই অনুভূতিটাই আনার জন্য তিনি সত্যি গান গাওয়ার আগে পান খেয়েছিলেন।
৯। তার ব্যতিক্রম ধর্মী গায়কি এবং গানের মাঝে খুব দ্রুত সুর ওঠা নামা র স্টাইলটি জিমি রজারস এবং টেক্স মরটন থেকে অনুপ্রাণিত।
১০। তিনি তার পুরো জীবনে ৪জন কে বিয়ে করেছিলেন। মধুবালা র হার্টে ছিদ্র থাকা সত্ত্বেও তিনি তাকে বিয়ে করেন। তিনি তার চার স্ত্রী কেই ‘বান্দারিয়াস’ বলে ডাকতেন।
১১। লতা মুঙ্গেশকর বলেছিলেন তার সদা হাসি মুখের পিছনে রয়েছে একটি দুঃখের জীবন। কিশোর কুমার তার মৃত্যুর এক মাস আগে তাকে এই কথাগুলো বলে যান।
১২। প্রযোজকরা পুরো সম্মানী না দিলে তিনি কখনই গান করতেন না ।
অনলাইন ডেস্ক/বিজয় টিভি