এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোন অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকমই আছে।
আপিলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ আদেশের পর তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার মাহবুবে আলম এ কথা বলেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল ফাইল করেছেন। সে আপিলে তিনি জামিন চেয়েছিলেন।
হাইকোর্ট বিভাগ সে জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে তার পক্ষে একটি লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল আপিল বিভাগে। সেখানে জামিন চাওয়া হয়েছিল। আদালত তার আইনজীবী, রাষ্ট্রপক্ষ এবং দুদকের আইনজীবীদের যুক্ত উপস্থাপনের পর আজ জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট যেটা দাখিল করা হয়েছে সেটা আদালতে পড়ে শুনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোন অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকই আছে।
মাহবুবে আলম বলেন, সর্ব সম্মতিক্রমেই আজকে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি শুনানিতে বলেছি, এর আগে একটি মামলায় ওনাকে ১০ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। চ্যারিটেবল মামলায় সাত বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মোট তাকে ১৭ বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। কাজেই এটাকে বলা যাবে না-এটা শর্ট সেন্টেন্স। সুতরাং এখানে তিনি জামিন পেতে পারেন না।”
মাহবুবে আলম জানান, চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার থেকে সর্বাত্মক সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে বঙ্গবন্ধু প্রিজন সেলে রাখার কথা কিন্তু তাকে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। ওনাকে সেবা দান করার জন্য একজন সেবিকা দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওনাকে দেখভাল করছেন। কিন্তু ওনার অনুমতি না হলে উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক /বিজয় টিভি