ইমরানের বাবা ছিলেন অভিনেতা। ইমরানের নানি ত্রিশের দশকের বিখ্যাত বলিউড নায়িকা পূর্ণিমা। আর মামা প্রখ্যাত বলিউড নির্মাতা মহেশ ভাট।
মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ইমরান হাসমি মামা মহেশ ভাটের সঙ্গে কাজ শুরু করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। কিন্তু পরিচালনা সহকারী হিসেবে মানাচ্ছিলনা হাসমিকে। মহেশ ভাট বিষয়টা দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন নায়ক বানাবেন ভাগ্নেকে।
ব্যাস ২০০৩ সালে হাসমি হাজির হল পর্দায়। সিনেমার নাম ‘ফুটপাত’। খুব একটা সাড়া জাগাতে পারলনা সিনেমাটি। মাত্র এক বছর পর আসলো ইমরান হাসমির নতুন ছবি ‘মার্ডার’। মল্লিকা সারাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে হাসমি চলে এলেন আলোচনায়।
মার্ডার সিনেমার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি হাসমিকে। সফলতার সঙ্গে ছুয়েছেন জনপ্রিয়তাকে। তুমসে নাহি দেখা, আশিক বানায়া আপনে, আকসার, চকলেট, দ্যা কিলারসহ অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়।
ডার্টি পিকচার, ওয়ানস আপন আ টাইম ইন মুম্বাই সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে নিজেকে একজন সফল অভিনেতা হিসেবে প্রমান করেছেন হাসমি। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করেছেন শাহরুখের প্রযোজিত ওয়েব সিরিজে।
ব্যক্তিগত জীবনে ইমরান হাসমি বিয়ে করেছেন পারভিন শাহানিকে। তাদের একমাত্র পুত্র আয়য়ান ২০১৪ সালে কান্সারে আক্রান্ত হয়। পুত্রের কান্সার জয়ের গল্প নিয়ে ‘দ্যা কিস অফ লাইফ’ শিরনামে বই লিখিছেন হাসমি।
হাসমি এখন ব্যস্ত আছেন আরও কিছু সিনেমায়। প্রযোজনাও করছেন তিনি। ১৯৭৯ সালের ২৪ মার্চ মুম্বাইয়ে জন্ম এই অভিনেতার। আজ তার ৪০ তম জন্মদিন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি