আনতারা রাইসা :করোনার এই কঠিন সময়ে আমরা সকলেই ঘরে বসে থেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। কেউ কেউ আমরা মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। ফেসবুক কিংবা টেলিভিশন খুললেই এখন শুধু মানুষের মৃত্যুর মিছিল দেখে আপনি নিশ্চয়ই খুব হতাশ হয়ে পরেছেন? এজন্যই এখন দরকার একটু ভিন্ন ধারার সংবাদ। ঘরে বসে আপনি বিভিন্ন তারকাদের মজার মজার গল্প শুনে নিজের চিন্তাকে একটু ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে পারেন। এতে করে আপনার মন ও ভালো থাকবে।
বিনোদন জগতের বাইরের খবর তো আমরা সবাই জানি। কখন কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে , কোন অভিনেতার কোন অভিনেত্রির সাথে প্রেমের গুঞ্জন চলছে। কিন্তু এর ভিতরেও কিন্তু আরো অনেক ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে। যা হয়তো ওই ভাবে মিডিয়াতে আসেনা। এবার সেই গল্পগুলোই আপনাদের শোনাব।
বলিউডে কাপুর-খান পরিবারের খারাপ সম্পর্কের রহস্যঃ
সালমান খান আর ঋষি কপূর বহু বছর ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে থেকে গিয়েছেন। সময়ে সময়ে তাঁদের বিভিন্ন সাক্ষাত্কার বা মন্তব্য থেকে এই বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কবে এবং কী ভাবে তাঁদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের এমন অবনতি হল?
সালমানের বাবা সেলিম খানের সমসাময়িক অভিনেতা হলেন ঋষি কপূর। শুরু থেকেই কিন্তু সালমানের সঙ্গে ঋষি কপূরের এমন সম্পর্ক ছিল না।
সালমান খান তখন ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জন করছেন। নামও হয়েছে তাঁর। এক বার বন্ধু সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে মুম্বইয়ে একটি ক্লাবে পার্টি করছিলেন সালমান। সেই পার্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে হাজির ছিলেন রণবীর কপূরও। রণবীর তখনও বলিউডে পা দেননি।
কোনও একটা বিষয় নিয়ে সালমান আর রণবীরের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। কথায় কথায় রণবীরকে চড় মারেন সলমন খান। তখন সঞ্জয় দত্ত দু’জনের মাঝে দাঁড়িয়ে তাঁদের শান্ত করান। পার্টি ছেড়ে চলে যান রণবীর।
এই ঘটনা যখন সালমানের বাবা সেলিম খানের কানে যায়, তিনি সালমানকে কপূর পরিবারের গিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু সালমান ছিলেন নাছোড়বান্দা। বাধ্য হয়ে সেলিম খানই ছেলের তরফে রণবীর এবং ঋষি কপূরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
কপূর পরিবার থেকে সালমান আরও চোট পেয়েছিলেন যখন তাঁর গার্লফ্রেন্ড ক্যাটরিনা কইফ তাঁকে ছেড়ে রণবীরের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করেন। সালমান সাধারণত জোর করে কোনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ঘোর বিরোধী। কিন্তু ঋষি কপূর তাঁর বাবার সমসাময়িক অভিনেতা হওয়ায় রণবীরের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন তিনি।
২০১৫ সালে ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলার শুনানির সময় পুরো বলিউড সালমানের পাশে ছিল। টুইট করে সলমনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ঋষি কপূরও। কিন্তু তার পরই তাঁর বয়ান পাল্টে যায়।
জানুয়ারি ২০১৭ সালে ঋষি কপূরের আত্মজীবনী ‘খুল্লাম খুল্লা’ প্রকাশ পায়। তাতে ঋষি সেলিম খানের বিরুদ্ধে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করেন। তখনও পর্যন্ত ঋষি কপূরের বিরুদ্ধে একটাও মন্তব্য করেননি সালমান খান।
কিন্তু মুম্বইয়ের হোটেলে সোনম কপূরের রিসেপশনের পার্টিতে সমস্ত সহ্যের সীমা পার করে ফেলেছিলেন সালমান খান। শোনা যায়, এই পার্টিতে সালমান খানের ভাইয়ের স্ত্রী সীমা খানের সঙ্গে নাকি ভীষণ দুর্ব্যবহার করেন ঋষি কপূর। সলমনের নামে অনেক খারাপ মন্তব্যও করেন তিনি।
এত দিন সালমান খান ঋষি কপূরের বিরুদ্ধে একটাও মন্তব্য করেননি। তাঁকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে চলছিলেন। কিন্তু এর পর এক সাক্ষাত্কারে সলমনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অমিতাভ, অনিল এবং ঋষি কপূরের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয় ইনিংসে কে দারুণ ব্যাট করছেন। প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ এবং অনিলের নামে ভূয়সী প্রশংসা করেন সলমন। ঋষি কপূরের নামটাই পুরোপুরি এড়িয়ে যান। সরাসরি নাম না নিয়েই তাঁর মনে ঋষি কপূরের স্থান কী, সে দিন তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বলেই মনে করেছিল বলিউড।
কাজলের গোপন ভালো লাগার খবর ফাঁসঃ
কাজল এবং করন জোহরের বন্ধুত্বর কথা বলিউডে কারও অজানা হয়। শুধু বন্ধুই বা কেন, কাজল করনের ‘লাকি চ্যাম্প’-ও বটে। কিন্তু এই সুন্দর বন্ধুত্বের শুরুটা কিন্তু খুব মজাদার। সে অনেক দিন আগের কথা। কাজলের তখন ১৫ এবং করনের ১৭। দু’জনেই যেহেতু ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে তাই এক পার্টিতে প্রথম দেখা হয় কাজল এবং করনের। কাজলের মা তনুজাই তাঁর সঙ্গে করনের আলাপ করিয়ে দেন। ব্যস সেই থেকে শুরু এই বন্ধুত্বের।
বলিউডে কত কিছুই না হয়।অনেক কিছু থেকে যায় আড়ালে, অগোচরে। এমনই এক সিক্রেট ফাঁস করলেন করন জোহর, তাও তার বন্ধু কাজলের ব্যাপারে। এক সময় নাকি অক্ষয় কুমারের উপর কাজলের ক্রাশ ছিল আকাশছোঁয়া। ছিল এক অদ্ভুত ভাললাগা।
কপিল শর্মার কমেডি শোতে এসে করন বলেন, “একটি ছবির প্রিমিয়ারে আমি এবং কাজল দু’জনেই উপস্থিত ছিলাম। সালটা ১৯৯১। প্রিমিয়ার পার্টি জুড়ে সর্বক্ষণ কাজল তাঁর সেই সময়ের ক্রাশ অক্ষয় কুমারকে খুঁজে যাচ্ছিল। সঙ্গে নিয়েছিল আমাকে। খুব জ্বালিয়েছিল। যদিও খুঁজে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি অক্ষয়কে।”
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি