করোনার মধ্যেও দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। করোনার কারণে দুর্নীতিপরায়ণদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আজ (শুক্রবার)রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসায় দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলনে, গণমাধ্যমে এ জাতীয় সংবাদ দেখেছি, তবে আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে পারি, কমিশন ক্যাসিনোকান্ডে যে সব অভিযোগ আমলে নিয়েছে সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই। করোনার কারণে অপরাধীদের প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ারও সুযোগ নেই । প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে।
এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই ( পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট ) কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলনে, করোনা মহামারি শুরুর প্রারম্ভইে এসব সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো প্রতিষ্ঠান ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটা স্বাভাবিক,এক্ষেত্রে দুদকের কিছু করণীয় নেই। তবে এসব ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু খবর এসেছে। কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে। এছাড়া কমশিনের অভিযোগকেন্দ্র হটলাইন-১০৬-এ স্বাস্থ্য খাতের বেশকিছু কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটকেও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো অনুসরণ করছে।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি