জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কম। জাতিসংঘে এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (১০ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) আয়োজিত ‘মানবিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিরসন’-শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের
এ প্যানেল আলোচনা অংশ নিয়ে রাবাব ফাতিমা বলেন, মানবতা ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণপ্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্ত্যচ্যুত ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে-স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সভায় উল্লেখ করেন তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশেষ এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এর সংক্রমণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, যা দেশের মূল জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের হারের চেয়ে কম।
এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এবং এর পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইকোসকের সহ-সভাপতি মরক্কো উচ্চ পর্যায়ের এ সভায় সভাপতিত্ব করে।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ ও মানবিক বিষয়াবলীর সমন্বয়কারী, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক ছিলেন আলোচনা পর্বটির মডারেটর। আলোচনা পর্ব শুরুর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সভায় ভাষণ দেন। সভায় আরও অংশ নেন নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়নমন্ত্রী সিগ্রিড ক্যাগ।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি