এ দেশ এমনিতেই ‘তালাবন্ধ’। সারা বছর বিদেশিদের আনাগোনা খুব কম। এ দেশ থেকে অন্যত্র যাতায়াতও হাতেগোনা। তা-ও বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলতেই জানুয়ারি মাসের শেষে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষরক্ষা হল না। প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর মিলল উত্তর কোরিয়া থেকে। তবে এখনও রিপোর্ট নিশ্চিত নয়।
দেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে দক্ষিণে কিসং শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেন শাসক কিম জং উন। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার চিকিৎসা পরিকাঠামো তেমন মজবুত নয়। অতিমারি সামলানো তাদের পক্ষ কঠিন হতে পারে। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে তারা রোগ প্রতিরোধের উপরে জোর দিচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশ জুড়ে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে লোকটির করোনা সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। ১৯ জুলাই বেআইনি ভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে দেশে ঢোকেন। দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য তাদের সীমান্ত দিয়ে উত্তরে কারও প্রবেশের খবর অস্বীকার করেছে। পিয়ংইয়্যাং প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযুক্ত রোগীকে সীমান্ত শহর কিসংয়ে পাওয়া যায়। কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন, খোঁজ করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘ভয়াবহ পরিস্থিতি… মারণ বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার