তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কিভাবে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা সবাই জানে। পরবর্তীতে জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রায় দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তখনও তারা অব্যাহতভাবে গত ১২ বছর ধরে দেশকে অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতিদ্বয়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস ও আইন সম্পাদক আর এম ইউনুস রুবেল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নূর হোসেন দিবসে বিএনপির অভিযোগ- ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করেছে’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির এসমস্ত গৎবাঁধা অভিযোগ আমরা গত এক যুগ ধরে শুনে আসছি। বিএনপি যে জনগণকে নিয়ে ভাবে না, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে- তাদের সমস্ত বক্তৃতা-বিবৃতি, আন্দোলন-সংগ্রাম সবই নির্বাচন কমিশন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেন্দ্রিক। আর বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছে বিএনপি।’
‘বিএনপির জন্মটাই হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সেনা ছাউনির মধ্যে, শতশত সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি কিভাবে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল তা সবাই জানে। তখন দেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, চারবার একক, একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। হাওয়া ভবনে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা আর খোয়াব ভবনে ছিল আমোদ-ফুর্তি। তখন বাংলা ভাই, শাইখ আব্দুর রহমান এই সমস্ত জঙ্গির উত্থান ঘটেছিল। দেশে আদালতে বোমা, রাজপথে বোমা, ৬৩টি জেলায় পাঁচশ’র বেশির স্থানে একযোগে বোমা -এগুলো বিএনপির আমলেই হয়েছিল।’
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি