ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের লালপুরে মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে জেলার শুটকি উৎপাদনের বিশাল মাচা। জেলার ১৯৩টি শুটকির মাচার মধ্যে এখানেই রয়েছে ১৬০টি মাচা। এসব মাচায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ হাওর অঞ্চলের মাছ কিনে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছের শুটকি। আশ্বিন থেকে শুরু করে ফালগুন মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এখানে শুটকি তৈরীর কাজ।
কোনো রকম ক্যামিকেল বা ফরমালিন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে এসব সুস্বাদু শুটকি। আর এসব শুটকি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করে ভারত, নেপাল, সৌদি আরব, আমেরিকা, লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়।
এর সাথে জড়িতরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তার অভাবে তাদের এ পেশা ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে, ক্রেতা সংকট দূর করতে অনলাইন শুটকির বাজার তৈরির কথা জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
করোনার মধ্যেও বিগত মৌসুমে জেলায় ৪ হাজার ৩৮ মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২শ কোটি টাকারও বেশি। তবে ক্রেতা সংকটে গত মৌসুমের ২০ ভাগ শুটকি এখনও অবিক্রীত রয়ে গেছে।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি