অরুন্ধুতি বক্তৃতায় সরকার বাধা তো দেয়নি বরং সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। আজ বিজয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল সারাদিন তার বক্তৃতা অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করাতে আমাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কাজ করেছেন। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় ভিন্নমতের স্বাধীনতার বিষয়ে আন্তরিক। সমাধানের জন্য বিষয়টি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার বদলে আয়োজক গণ বিভিন্ন মিডিয়াতে অভিযোগ রেকর্ড করায় ব্যস্ত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে অনুষ্ঠান আসেন, তার নিরাপত্তার আয়োজন আগে থেকে করতে হয়। জায়গাটি কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সেসময় নিরাপত্তার প্রয়োজনে সেখানে অন্য কোন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয় না। কৃষিবিদের অনুমতি নিয়ে সেই কারণেই একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাছাড়া একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান লেখক হিসেবে তার বিষয়ে বাংলাদেশর একাডেমিশিয়ান ও বিশিষ্ট জনদের আগ্রহ আছে। সময়মত জানলে ও আমন্ত্রণ পেলে দেশের অনেক একাডেমিশিয়ান, বিশিষ্ট জন এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যোগদান করতে পারতেন। কিন্তু আয়োজকরা অজানা কারণে তাদের একেবারে শেষ মুহুর্তে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি শহিদুল আলম নামের ওই বিতর্কিত ব্যক্তির আমন্ত্রনে এসে তার মত একজন আন্তর্জাকি মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির সম্মানহানী হয়েছে। কারন এই শহিদুল আলম অল্প কিছুদিন আগে ছোটছোট বাচ্চাদের আন্দোলনকে ধংসাত্তক খাতে প্রবাহিত করার জন্যে একটি বিষেষ স্বার্থন্বাসী গোষ্ঠীর সাথে গলা মিলিয়ে মিথ্যা ও বানয়োট খবর রটিয়ে সমালোচতি ও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।”
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘আটমোস্ট এভরিথিং’ শিরোনামের ওই অনুষ্ঠানে বিতর্কিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সাথে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল অরুন্ধতীর। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগে সোমবার রাতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ আয়োজকদের জানায়, মিলনায়তনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। তবে পরে মঙ্গলবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেন আয়োজকরা। এর আগে দৃক গ্যালারির আয়োজনে ‘ছবিমেলা’য় যোগ দিতে ৩ মার্চ বাংলাদেশে পৌঁছান অরুন্ধতী রায়।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি