প্রযুক্তির উন্নতির ফলে দেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই উঠে গেছে কাঠের ঘানিতে তেল তৈরির প্রক্রিয়াটি। বিজ্ঞাপনে, বই পত্রে ঘানির তেলের প্রশংসা থাকলেও আদি ঐতিহ্যের এ শিল্পটি হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্ত, কুমারখালীর মিজান অনেকটা শখের বসেই শুরু করেন দাদা নানার হারিয়ে যাওয়া এই পেশাটি।
দেশি সরিষা কিনে প্রথমে একটা গরু দিয়ে তেল তৈরির কাজ শুরু করলেও বর্তমানে তার ঘানি ও গরুর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া, তার ঘানিতে কাজ করে অন্যরাও হচ্ছেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
গুনেমানে বিশুদ্ধতার শতভাগ নিশ্চয়তা থাকায় মিজানের তেলের কদর বেড়েছে দিগুণ।
এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বললেন, তেল মাড়াইয়ের এই প্রাচীন পদ্ধতিটি কঠিন হলেও সবার কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খাবার পাশাপাশি সর্দি কাশিতেও এই তেল মহৌওষুধ হিসেবে কাজ করে।
অন্যদিকে, এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোক্তা মিজানকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুণ।
আদি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বর্তমানে এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।