রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের পেছনের কারিগর মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। তার বীরোচিত ব্যাটিংয়েই ইতিহাস গড়ার স্বপ্নটা দেখেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের রানের পাহাড় মাড়িয়ে, ফলোঅনের শঙ্কা কাটিয়ে, বড় রানের ভিত গড়েছিল টাইগাররা। সেই রান পেরোতেই নাজেহাল হয়েছিল পাকিস্তান। সে ম্যাচে ইতিহাস গড়ে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছিলেন মুশফিক। ১৯১ রান করে আউট হয়েছিলেন অভিজ্ঞ ডানহাতি এ ব্যাটার। তবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিল মুশফিক। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে আরও তিনটি রানের মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় ডানহাতি এ ব্যাটার।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে জয় কিংবা ড্র নিশ্চিত করতে পারলেও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতবে টিম টাইগার্স। অবশ্য বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভেস্তে গেছে প্রথম দিনের খেলাই। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় টস হওয়ার কথা ছিল। তবে টানা বৃষ্টিতে টস হয়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় (স্থানীয় সময় ১২টা) আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেন। এর কিছুক্ষণ পরই দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রথমটি হলো পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ১৩৩ রান করলেই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ফরম্যাটে ৬ হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখাবেন মুশফিক। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৮৯টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১১টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফসেঞ্চুরিতে ৩৯ দশমিক ১১ গড়ে ৫৮৬৭ রান করেছেন মুশফিক।
মুশফিকের পর বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আছে তামিম ইকবালের। ৭০ টেস্টে ১০ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফসেঞ্চুরিতে ৫১৩৪ রান করেছেন তামিম। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে ৫ হাজার রানের ক্লাবে আছেন শুধু মুশফিক ও তামিমই।
এ ছাড়া ৩৪ রান করতে পারলে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে দ্বিতীয় মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ১৫ হাজার ১৯২ রান করেছেন তামিম। এই মুহূর্তে মুশফিকের রান ১৫ হাজার ১৫৯।
মুশফিকের সামনে তৃতীয় মাইলফলকটি হলো বাংলাদেশের হয়ে টেস্টের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুলকে ছুঁয়ে ফেলা। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি মুমিনুল হকের। বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান খ্যাত এই ব্যাটারের টেস্টে সেঞ্চুরির সংখ্যা ১২টি। অন্যদিকে মুশফিকুর রহিমের টেস্ট সেঞ্চুরি বর্তমানে ১১টি। আর এ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন মুমিনুলকে।