শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার খবর সঠিক নয়। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছেতেই এ পরিবর্তন এসেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে।
বাংলাদেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ক্যারিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে জনগণই তাদের সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোন ভূমিকা নেই। এ ধরণের যেকোন দাবি গুজব ও মিথ্যা। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে যেকোন অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তেই এটি হয়েছে। এবং আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই দেশটির সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
গত ৫ অগাস্ট তুমুল গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যান, সেদিন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন তিনি, যদিও আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, তার মা পদত্যাগ করে যাননি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
এছাড়াও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, পরাজয় মেনে নিয়ে তিনি দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন।
যদিও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগে ও ঢাকার ছাড়ার পর এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি। গত ১১ আগস্ট রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে একটি বিবৃতি এক সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটু আগে তাঁর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা ঢাকা ছাড়ার পরে এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি।’