অতীতের সব রেকর্ড ভাঙলো পাগলা মসজিদ, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১০ দিন পর খোলা হয়েছে। এবার টাকা গণনা করে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের এসব দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়।
এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ এবং রাত ২টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও পাগলা মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ আরও অনেকে।
আড়ও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি আহত
অতীতের সব রেকর্ড ভাঙলো পাগলা মসজিদ, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহুয়া মমতাজ টাকা গণনার কাজ শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন।
টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির কমিটির ৩৪ জন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্রসহ অতিরিক্ত আরও অনেকে, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয় এবার রমজানের কারণে চার মাস ১০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয় এবং ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। টাকা গণনা শেষে এবার রেকর্ড পরিমাণ ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও দানকৃত গবাদি পশু ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করে টাকাগুলো মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়।