জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের পরে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস-নাশকতা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ডিএমপি। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
গেজেটে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া কয়েকটি মামলার রায়ে জামায়াত এবং এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশনের রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রেখেছেন বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়।
গেজেটে আরও বলা হয়, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে, জামায়াত এবং ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল। সরকার বিশ্বাস করে যে, জামায়াত ও শিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
তাই ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং এ আইনের তফসিল-২ এ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হলো।