সচিবালয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য- উপাত্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে সহায়তা করবে ভারত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে তার অফিসে কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত, মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেছেন, বৃষ্টি ছাড়াও ভারতের উজানে ড্যাম খোলার বিষয়ে আগাম তথ্য পেলে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রজননকালে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। ভারতের সমুদ্রসীমায় একই সময় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ না থাকায় দুই দেশের মৎস্যসম্পদই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপদেষ্টা দুই দেশ একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিমসটেককে গতিশীল করার ব্যাপারেও একমত হন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। উপদেষ্টা বলেন, চলমান সংস্কারের অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন খাতে নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ, আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ এবং দুই দেশের বন্যা ও বন্যা-উত্তর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার পাওয়ান বেদে ও প্রথম সচিব ভি প্রতিক নিয়োগী।