মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত দেশের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদবেদিতে ফুলের তোড়া নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।
বুদ্ধিজীবী দিবসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় স্মৃতিসৌধ। পরে দলে দলে যোগ দেয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় স্লোগান দিয়ে মিছিল করে আসতে থাকে।
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আত্মশক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদররা পরিকল্পিতভাবে এ দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছে। তারা এখনও নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কোনোভাবেই যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, বুদ্ধিজীবী আমরা কাদের বলবো? যারা শুধু স্কুল-কলেজে পড়িয়েছে বা যারা সাংবাদিকতা করেছে, তাদের? কিন্তু গ্রামীণ স্তরেও অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাদের লেখনী ও অবদান সম্পর্কে লোকসমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। বাংলা একাডেমি সেই কাজটি করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা অপপ্রয়াস চলেছে বিভিন্ন সময়ে। তাদের মধ্যে যেন একটা উপলব্ধি জাগ্রত হয় যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গঠনে একটি স্বপ্ন রেখে গেছেন। সেই সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যে প্রত্যয়, সেই প্রত্যয় থেকেই আমরা আজ এখানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, যত দিন অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় নিয়ে আমরা এখানে আসবো।