ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। ভাসছে চীনের প্রভাবের কথাও। এমন অবস্থায় হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।
দেশটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ও আগ্রহী বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে চীনের প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে অস্থিরতার পরে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে — বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে — জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?