দেশের সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, বিআরটিএর অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত ত্রুটির কারণে দেশের সড়ক পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। গড়ে উঠছে না নিরাপদ ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা। স্বার্থবাদী গোষ্ঠী রাজনীতিকীকরণের মাধ্যমে গোটা পরিবহন খাত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির নৈরাজ্যে পরিণত করেছে।
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে আরও বলা হয়, অথচ বিআরটিএ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান এবং অপেশাদারি ব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে বলেও জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাবে দায়ীদের শাস্তি হচ্ছে না। সড়ক পরিবহন আইন ছয় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু কমিটি গঠন এবং সুপারিশ তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা বলেন, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির কাজের কোনো সফলতা নেই। প্রতিষ্ঠানটির নামই মানুষ জানে না। এর কাজ কি বোঝা যায় না। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) প্রত্যাশিত পরিবহন সেবা প্রদানে চরমভাবে ব্যর্থ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে।
সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে বিআরটিএর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে রোড সেফটি নেতারা আরও বলেন, সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার অতীব জরুরি।
একইসঙ্গে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং বিআরটিসিকেও সংস্কার করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করে টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করলে দেশে নিরাপদ-জনবান্ধব সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।