নির্বাচন করায় তাকে পেটানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগে শনিবার রাতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তানোর থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) থানায় অভিযোগের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মাহি। তিনি বলেন, ‘আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়েছে। তাই আমি থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ‘হুমকির অভিযোগ পেয়েছি। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, মাহাবুর রহমান মাহাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন মাহি। মাহাবুর রহমান শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক ভিডিওতে মাহিকে জুতা দেখিয়ে বলছেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহিকে, এই যে দেখছেন এই জুতা? এই জুতা দিয়ে, একদম জুতা দিয়ে পেটানো উচিত।’
রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামের ছদের আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান মাহাম। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। তবে যোগাযোগ করা হলে মাহাম দাবি করেন, তিনি নৌকার সমর্থক। বর্তমানে দলীয় কোনো পদ নেই তার।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই ওই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও এবারের নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীকে কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন। ওমর ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সামনে এনে মাহি এবার তাকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের আহ্বান জানান। এ কারণেই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেন মাহাম। যদিও কিছুক্ষণ পর তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিট করে ফেলেন।
মাহাম ভিডিওতে মাহিয়া মাহি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। কারা সিনেমায় যায়, সেই প্রশ্নও তোলেন। বলেন, ‘আপনার মতো মাহিয়া মাহির দ্বারা তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়ন তো দূরের কথা; হাজারো ছেলে নষ্ট হবে। আমি এখনো বলছি, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে আর একটা যদি বাজে মন্তব্য করেন, আপনাকে জুতা দিয়ে পেটানো উচিত। আপনি ওমর ফারুক চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়ের যোগ্য না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গনমাধ্যমকে জানান, ‘ভিডিও ছাড়ার পর রাজশাহী থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। তারা নানান কথা বলছেন। সেই কারণে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছি।’