আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আগমী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। এতে স্পষ্ট— নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন নিয়ে আমরা অবিচল, অটল। আমাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে। অগ্নিসন্ত্রাস করে কেউ নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি খুবই রহস্যময় কিছু অনুষ্ঠান করছে। ৪ তারিখ পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করবে খবর বেরিয়েছে। এসবের মধ্যেও কিছু খারাপ তথ্য বেরিয়ে আসছে। বিএনপির লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম রহস্যময়। তাই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। যদিও অগ্নিসন্ত্রাস আছে। বাসে, ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে যাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে না যায়। এজন্য বিএনপি ও তার দোসররা সন্ত্রাসী কাজ করছে। যত বাধাই আসুক, আগুন-সন্ত্রাস হোক, নির্বাচন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা রয়েছে। হঠাৎ করে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে তারা জেগে উঠতে পারে। বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
তিনি বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশি। পরিকল্পনা, প্রস্তুতি সবকিছুই সময় মতো সম্পন্ন করতে চাই। যেন জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত।