হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা ও লেবাননে নজিরবীহিন বিমান হামলায় শীর্ষ সামরিক জেনারেলকে হত্যার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার সময় ইসরায়েলজুড়ে বেজেছে সাইরেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে জেরুজালেম এবং জর্ডান রিভার ভ্যালি থেকে। ইসরায়েলিরা নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রচারের সময় সাংবাদিকরা মাটিতে শুয়ে পড়ে।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইসরায়েলের মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইসরায়েলের ওপর সরাসরি সামরিক হামলার জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও ইরানের এসব হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ রাতের মতো ইরানের হামলা শেষ হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসার অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে তাদের আকাশসীমাও।
এদিকে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরপরই হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি করে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল মার্কিন বাহিনী।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।