বর্ষাকাল জীবাণু সংক্রমণের আধিক্য নিয়ে আসে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দেয়। কানের সংক্রমণ হলো বর্ষাকালে এমন একটি সাধারণ ঘটনা যা ক্রমাগত চুলকানি, কানে অস্বস্তি, মাঝে মাঝে ব্যথা বা কানে বাধার অনুভূতির সৃষ্টি করে। বর্ষাকালে কানে সংক্রমণ এড়াতে কিছু কাজ আপনাকে করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কানের সংক্রমণ
ওটোমাইকোসিস এবং অন্যান্য ছত্রাকের কারণে কানের সংক্রমণের সৃষ্টি হয়। এর ফলে কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, কানে ব্যথা, শ্রবণশক্তি হ্রাস, চুলকানি, কান থেকে পানি পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। অ্যাকুইট ওটিটিস মিডিয়া (AOM) হলো একটি পরিচিত কানের সংক্রমণ যা সারা বিশ্বে শিশুদের মধ্যে নির্ণয় করা হয়। জার্নাল অফ হেলথ, পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন অনুসারে গ্রীষ্মের তুলনায় বর্ষা মৌসুমে AOM এর ঘটনা বেশি দেখা যায়।
কানের স্বাস্থ্যবিধি
ছত্রাকের বৃদ্ধি এড়াতে কানের স্বাস্থ্যবিধিতে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কানের পরিচ্ছন্নতা এবং শুষ্কতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি পরিষ্কার, শুষ্ক কাপড় দিয়ে বাইরের কান মুছে ফেলা ছত্রাকের বৃদ্ধিকে বাধা দিতে পারে।
ডিভাইস পরিষ্কার
কানে ব্যবহার করা হয় এমন যন্ত্রগুলো সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থাৎ কানের ভেতরে যাতে সংক্রমণ যাতে না যায় সেজন্য নিয়মিত হেডফোন, ইয়ারফোন এবং অন্যান্য কানে ব্যবহৃত ডিভাইস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পেটের জন্য উপকারী ৫ খাবার
কান পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কটন বাড ব্যবহার করা এড়াতে হবে। কান পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এগুলো উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি। এতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এবং এর মাধ্যমে সেই ব্যাকটেরিয়া কানে প্রবেশ করতে পারে। কটন বাড ব্যবহার করলে তা কান পরিষ্কার করার পরিবর্তে কানের ময়লাকে গভীরে ঠেলে দেয়। এর ফলে আঘাত, সংক্রমণ এবং জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সাঁতার এড়িয়ে চলুন
বর্ষা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই এই ঋতুতে সাঁতার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে যদি সাঁতার কাটতেই হয় সেক্ষেত্রে কানকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পানিরোধী ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করা উচিত। এটি পানি এবং কানের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, যা কানে পানির প্রবেশকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।