সকালের নাস্তায় তাজা ফলের রস রাখতে ভালোবাসেন অনেকেই। বাড়তি উপকারিতা পেতে ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন চিয়া সিড। ডালিমের রস ও চিয়া সিড খেলে দারুণ সব উপকার মেলে- এমনটি বলা হচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। এই দুইয়ের মিশ্রণ অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কেন এই পানীয়?
ডালিমের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, প্রদাহ কমায় এবং হৃদরোগের উন্নতি করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ সুপারফুড চিয়া বীজ এই পানীয়ের গুণ বাড়ায় আরও। চিয়া বীজের ফাইবার হজমে সহায়তা করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে সাহায্য করে। অন্যদিকে এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য ত্বক এবং চুল ভালো রাখে। ডালিমের রস এবং চিয়া বীজের মিশ্রণ শরীরকে পুষ্টি জোগায়, প্রাণশক্তি বজায় রাখে এবং আপনাকে সারা দিন ধরে উজ্জীবিত রাখে।
ডালিমের রসের উপকারিতা
ডালিম পলিফেনল এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, এটি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, রক্তচাপ কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় উপকারী এই ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, ডালিমের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
চিয়া বীজের উপকারিতা
সুপারফুড বলা হয় চিয়া বীজকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই বীজ প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ, চিয়া বীজ হজমে সহায়তা করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার সুস্থ মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। চিয়া বীজ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজের দুর্দান্ত উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎস, যা হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। চিয়া বীজ আমাদের হাইড্রেটেড রাখে এবং অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
যেভাবে তৈরি করবেন পানীয়
আধা কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ মিশিয়ে নাড়ুন। জেলের মতো হওয়া পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ১ কাপ দালিমে ররসের সঙ্গে মিশিয়ে নেড়ে এরপর পান করুন।