বাজারে সাধারণত দেখা মেলে সবুজ বা গাঢ়ো সবুজ বর্ণের তরমুজ। কিন্তু ব্যতিক্রমী সোনালি বর্ণের বিদেশি গোল্ডেন ক্রাউন, বা ‘মাল্টা তরমুজ’ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার তরুন উদ্যোক্তা সোহেল রানা। প্রথমে স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ তরমুজের চাষ করলেও, পরবর্তীতে তার সফলতা দেখে উপজেলার অনেকেই এই জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
গোল্ডেন ক্রাউন বা মাল্টা তরমুজ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ফল। সাধারণত উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি এই তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। তরমুজ মাটিতে হলেও এটি মাঁচায় বড় হয়। এর, বীজ বপনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় ফল কাটা শুরু হয়। নতুন জাতের তরমুজটি উপজেলায় গত বছর থেকে চাষ শুরু হলেও বাজারে ভাল দামের পাশাপাশি চাহিদাও রয়েছে বেশ।
তরুণ এই উদ্যোক্তা জানান, ইউটিউব দেখে এই জাতের তরমুজ চাষে উদবুদ্ধ হন তিনি । পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় জমিতে বীজ বপণ করেন।
বাজারে ভাল দামের পাশাপাশি বেশ চাহিদাও রয়েছে এ তরমুজের। বর্তমানে এই তরমুজের প্রতিটির দাম ২০০ থেকে ৩শ’ টাকা। তবে এই তরমুজ চাষে নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন, বিভিন্ন পোকামাকড়, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে এ তরমুজ। সেজন্য রয়েছে তাদের বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে নতুন জাতের এই তরমুজ চাষে উদ্যোক্তা সোহেল রানা’সহ সকল তরমুজ চাষীদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে কৃষি বিভাগ। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এই সোনালী রঙের গোল্ডেন ক্রাউন বা ‘মাল্টা তরমুজ’ চাষ ছড়িয়ে দিতে উপজেলায় বিভিন্ন চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্মসংস্থানের পিছনে না ঘুরে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতি এবং কৃষিতে ভূমিকা রাখা, সোহেল রানার মতো এমন শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তারা যত এগিয়ে আসবেন, ততই সমৃদ্ধ হবে দেশের কৃষি বিভাগ। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।