শীতের মৌসুমে কুমড়ো বড়ির কদরটা একটু বেশিই। তাই প্রতি বছরের মতো এবারো সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বড়ির কারিগররা। এ অঞ্চলের সুস্বাদু কুমড়ো বড়ির চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও। এদিকে, এসব বড়ি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগাঁ গ্রামে প্রায় ২০ বছর যাবৎ বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। এ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত। চাল কুমড়ো আর ডাল দিয়ে তৈরি এই বড়ির চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও।
তবে কারিগররা জানান, পুঁজি সংকটের কারণে চাহিদা মতো বড়ির তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থের অভাবে এনজিও থেকে বেশি সুদে টাকা নিয়ে ব্যবসা চালালেও লাভের বেশি অংশই সুদ গুণতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, কুমড়োর বড়ি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীরাও স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
কুমড়ো বড়ি বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। ভোজন রসিকদের খাবারে বাড়তি স্বাদ এনে দেয় এ বড়ি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প সুদে বা বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এ শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।