টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চলতি মৌসুমে তুলা চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন চাষীরা। প্রতিবছর তুলা চাষে চাষীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে, এ বছর সরকার চাষীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি, অনুকূল পরিবেশ, পরিচর্যা এবং ভালো বীজের কারণে, মাঠজুড়ে তুলার বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকরা।
সরকারি প্রকল্প ও বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে চলতি বছর টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পুখুরিয়া গ্রামে তুলা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে ২শ ৪৮ হেক্টর জমিতে ৩ টনের বেশি তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তুলা উন্নয়ন অধিদপ্তর।
এবার, বন্যার কারণে শ্রাবন মাসের শেষে তুলা রোপণ করা হয়। আগে তুলা চাষে লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা। কিন্তু এবার সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা পাওয়ায় তুলার সঠিক পরিচর্যা সম্ভব হয়েছে। ফলে অধিক লাভের আশায় জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।
কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সমস্যা না হলে এ উপজেলায় তুলার বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা যেন উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য সরকারিভাবে তুলা ক্রয়ের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা তুলাচাষে আগ্রহী হচ্ছেন। পুরো জেলায় সরকারি প্রণোদনায় তুলা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে তুলা আমদানির নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।