চারদিকে লিচুর বাগান, গাছে গাছে মুকুল, পুরো গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের মিষ্টি গন্ধ। বাগানের নিচে সারি সারি করে রাখা হয়েছে মধু উৎপাদনের জন্য মৌমাছির বাক্স। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ফিরছে সেই বাক্সে। বলছি, লিচুর জন্য বিখ্যাত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের কথা। লিচু উৎপাদনের জন্য এ গ্রামের সুনাম ও খ্যাতি যেমন ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি লিচু বিক্রি করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হয়েছেন এখানকার চাষিরা। বর্তমানে লিচু ফুল থেকে মধু চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন তারা।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম। সারা দেশে মঙ্গলবাড়িয়া লিচু নামে বিখ্যাত গ্রামটি। প্রতি বছরই লিচু চাষে যেমন সুনাম কুড়িয়েছে এই গ্রামের চাষিরা তেমনি লিচু বিক্রি করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবন হয়েছেন তারা। বর্তমানে লিচু চাষের পাশাপাশি লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এ গ্রামের মধু চাষিরা।
প্রতি বছরই স্থানীয় মৌ চাষিদের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকা থেকে আসা চাষিরাও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে মধুর চাষ করেন। এ খাঁটি মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ক্রেতারা। আর এতে করে মধু চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
এই গ্রামে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার লিচু গাছ রয়েছে। এসব বাগানে মধু চাষে চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
প্রতি বছরই পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িায় লিচু বাগান থেকে ২ টন মধু সংগ্রহ করেন মধু চাষিরা। এতে করে স্থানীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভবিষ্যতে মধু চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন মধু চাষিরা। সেই সাথে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করায় ফুলের পরাগায়ন ভালো হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।