ব্রাহামা জাতের এই গরুর নাম কালো মানিক। ওজন তেরো’শ কেজি। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কৃষক রুবেল মিয়া সখের বসে আড়াই বছর ধরে লালন পালন করছেন এই গরুটিকে।
দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন কৃষক রুবেল মিয়া। খরচ পুষিয়ে নিতে দাম চাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা
এদিকে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন তরুণ উদ্যোক্তা খামারি এরশাদ উদ্দিন। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের গড়ে তুলেছেন একটি গরুর খামার।
এদিকে, ওই দুই খামারির মতো অন্য খামারি ও কৃষকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন গরুর পরিচর্যা ও মোটা তাজাকরণে। ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট পরিহার করে ঘাস খড়ের পাশাপাশি খৈল, গুড়া, ভুষি খাদ্য হিসেবে খাওয়ানোর মাধ্যমে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। সেই সাথে এসব খামারে কাজ করে আর্থিকভাব লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।
জেলায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৮১ হাজার ৩৩৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদা পূরণ করেও দেশের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন জেলা প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম।
জেলায় ছোট বড় ৫১৭টি গরুর খামার রয়েছে। তাই ভারতীয় গরুর উপর নির্ভর না করে নিজেদের দেশীয় গরুতেই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।