ফিলিস্তিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকার বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয়েছে।
‘ফিলিস্তিনে যারা তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে চায়, তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্রাজিলের সরকার। শিগগিরই সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। ব্রাজিল আশা করছে, এই চুক্তি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে,’ বিবৃতিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ আমেরিকাভুক্ত দেশগুলোর নিজেদের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম রয়েছে। মার্কোসুর ট্রেড ব্লক নামের সেই ফোরামের সম্মেলন শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার। ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন প্যারাগুয়ের অসুনসিয়ন শহরে চলমান এই সম্মেলনে উপস্থিত আছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ইব্রাহিম আল জেবেন। গতকাল সম্মেলনের অবসরে ইব্রাহিম আল জেবেনের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা।
চুক্তি সাক্ষরের পর এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রশংসা করে ইব্রাহিম বলেন, ‘বর্তমানে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ব্রাজিলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাৎসরিক ভলিউম ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হলে এই ভলিউম আরও বাড়বে। ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপনের জন্য এ চুক্তি খুব কার্যকর হবে বলে আমরা আশা করছি।’
ব্রাজিল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ২০১০ সালে। ফিলিস্তিনের শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সবসময়েই দেশটি সহানুভূতিশীল।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন ব্রাজিলের বামপন্থি প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাকিও লুলা দ্য সিলভা। গাজায় অভিযান চালানোর প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করলেও সেখানকার দূতাবাস থেকে নিজেদের দূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন সরকার। গত মে মাসের শেষের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।