যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার এই অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য চিরশত্রু চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। একাধিক সূত্রের বরাতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
সিবিএসের খবর অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কিছুদিন পরই শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তিনি তা গ্রহণ করেছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস।
এর আগে গত শুক্রবার এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন ও চলতি সপ্তাহেই তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।
আর পড়ুন- বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতীয় এমপিদের বিক্রম মিশ্রির ব্রিফ
বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এখন ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে শি যোগদান করলে সেটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হবে।
ট্রাম্প এখন এমন কথা বললেও নির্বাচনী প্রচারণার পুরোটা সময় চীনবিরোধী কথা-বার্তা বলেছেন তিনি। নিজের হবু প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চীনবিরোধী ব্যক্তিদের মনোনীত করে রেখেছেন তিনি। তাদের একজন হলেন পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত সিনেটর মার্কো রুবিও।
ট্রাম্পের চীনবিরোধী প্রচারণার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল চীনের ওপর শুল্ক আরোপের বিভিন্ন হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ফেন্টানিলের চোরাচালান বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ না নিলে তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্পের এমন হুমকির জবাব চীন সরাসরি না দিলেও দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সতর্ক করে বলেছে, ফেন্টানিল সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার দুই দেশকে মারাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।