রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আজ বুধবার দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমার বক্তব্য শুরু করেছে। শুরুতে বক্তব্য দিচ্ছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও এজেন্ট অং সান সু চি।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি দাবি করেছেন, গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় রাখাইনের একটি খণ্ডিত ও বিভ্রান্তিকর চিত্র হাজির করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। সু চি’র দাবি, রাখাইনে কোনও গণহত্যা ঘটেনি, সেখানে আরসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
সু চি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে আন্তর্জাতিক আইন ও সনদসমূহের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে আদালত সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গণহত্যা সনদের বিধান রুয়ান্ডা ও সাবেক ইয়োগোস্লাভিয়ায় প্রয়োগ করা হয়নি। গাম্বিয়ার দাবিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার আইসিজেতে ১৭ জন বিচারপতির উপস্থিতিতে প্রথম দিনের শুনানি হয়। এদিন আদালতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির উপস্থিতিতে অভিযোগকারী আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু মানবতাবিরোধী নৃশংসতার অভিযোগগুলোর সারাংশ তুলে ধরেন। আজ মিয়ানমারের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রশ্নে দেশের অভ্যন্তরে সামরিক-বেসামরিক তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সু চি প্রশ্ন তোলেন, যে রাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে কোনও ঘটনার তদন্ত ও বিচার করে এবং সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাজা দেয় তাদের গণহত্যার উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিনা। ‘কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে? যদিও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তবুও আমি নিশ্চিত করতে চাই যে বেসামরিক নেতাদের ওপরও যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/ বিজয় টিভি