টানা বৃষ্টি চলছে৷ কেরালার বিভিন্ন প্রান্ত জলমগ্ন৷ স্বাধীনতার পর থেকে এত বড় বন্যা কেরলে হয়নি৷ কেরলের জেলাগুলি পুরোপুরি জলের নীচে৷ বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৷ ১৪ জেলার মধ্যে ১১টি পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে৷
আপাতত বানভাসিদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যাঁরা নিজেদের জমি ও ঘর দুটোই হারিয়েছেন তাঁদের মোট ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে ৬ লক্ষ টাকা জমি কেনার, ৪ লক্ষ টাকা বাড়ি বানানোর৷ বন্যার্তদের মধ্যে যাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গিয়েছে তাদের বিনামূল্যে নথি তৈরির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন৷ বন্যাবিধ্বস্ত প্রত্যেক ত্রাণ শিবিরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে৷ রাজ্যের স্কুলগুলিতেও আশ্রয় নিয়েছেন বন্যার্তরা৷
এই প্রথম চারদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে কোচি বিমানবন্দর৷ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা৷ রানওয়ে পুরোপুরি জলের তলায়৷ ফলে কোনও বিমান ওঠানামা করতে পারছে না৷ বেশ কিছু বিমানকে কোঝিকোড় ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর দিয়ে অবতরণ করানো হচ্ছে৷ তবে তা সংখ্যায় বেশ কম৷
কেরালার প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে ‘ব্যতিক্রম বিপর্যয়’ঘোষণা করা হোক বলে কেন্দ্রে কাছে দাবি করেছে কেরল প্রশাসন৷ রবিবার কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের জন্য সেদিনই ১০০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র৷ যা পর্যাপ্ত নয় বলে জানাচ্ছে কেরল সরকার৷
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি