যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি টেলিফোন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
এ পরিষেবা চালু হওয়ার পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একে অপরকে ফোন করেন এবং ‘ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির পরে শুভেচ্ছা বিনিময়’ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিশ্ব নেতারা।
তবে এ চুক্তি নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ফিলিস্তিন, ইরান ও তুরস্কে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম তীরের অংশীকরণের বিষয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনা স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।
রবিবার এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গবি আশকেনাজি বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর এবং শিগগিরই মিলিত হওয়ার আগে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একসাথে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
টেলিফোন সংযোগ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলের যেসব সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট বন্ধ ছিল, সেগুলোও এখন ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে।
সাইটগুলো খুলে দেয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার বলেছেন, ট্রাম্পের কার্যালয়ে আসার পর থেকে তিনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সূত্র: ইউএনবি