রোববার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানে প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানকে অভিযোগ করে বলেছেন, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছুই করেনি। উপরন্তু ওসামা বিন লাদেনকে গাঢাকা দিতে সাহায্য করেছিল।
ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘একটু ভাবুন, পাকিস্তানের সবাই জানত লাদেন কোথায় রয়েছে। প্রতি বছর আমরা পাকিস্তানকে ১ দশমিক ৩ কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করে আসছিলাম। অন্যদিকে পাকিস্তান আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু আর তাদের সেই সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। আমি এটি বন্ধ করেছি কারণ পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছুই করেনি।’
ট্রাম্পের ওই সাক্ষাৎকারের পর মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বিষয়ে সোমবার তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ওয়াশিংটনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা উচিত। তাদের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
এ বিষয়ে ইমরান খান কয়েকটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে ট্রাম্পের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত :
যুক্তরাষ্ট্রে নাইন এলিভেনে যে হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো নাগরিক জড়িত ছিল না। তার পরেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের ৭৫ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং ১২৩ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সাহায্য দিয়েছিল মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার।
ইমরান খান বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ প্রশ্ন রেখে ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো মিত্র দেশ আছে- যারা এমন ত্যাগ স্বীকার করেছে?
পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা না বানানোর আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘১ লাখ ৪০ ন্যাটো বাহিনীর সদস্য, আড়াই লাখ আফগান সেনা এবং এক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে আফগানিস্তান যুদ্ধে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র জয়লাভ করতে পারছে না। তালেবান আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই বিষয়ে গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন দরকার।’
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি