আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি, যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে, আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা, কোটি প্রেমিকের মাঝে, বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে। মেসি নেইমার এক সঙ্গে খেলেছেন, ফুটবলের সঙ্গে যাদের প্রেম তাদের করেছেন মুগ্ধ। কখনো মেসির জন্য নেইমার আসেন বার্সায় আবার কখনো নেইমারের জন্য মেসি পারি দেন প্যারিসে। অনন্ত এ প্রেম আবার দুজনকে বিরহী করে দেন ট্রান্সফার ইউন্ডোতে।
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এটা সবারই জানা। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে প্রতিনিয়ত চলতে থাকে কথার লড়াই। তবু দেশ দুটির সবথেকে বড় দুই তারকার বন্ধত্বে ভাটা পড়েনি কখনো। সম্প্রতি নেইমারের করা একটি মন্তব্য দুজনের সম্পর্কের গভীরতা কতটা সেটিরই জানান দেয়।
কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের পর মেসিকে জড়িয়ে ধরে নেইমারের সেই কান্না দাগ কেটেছিল কোটি ফুটবল ভক্তের মনে। চোখের জলে বার্সেলোনাকে বিদায় বলার পর এলএমটেনের পাশে থেকে সমর্থন দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার। তার অনুপ্রেরণা মেসিকে টেনে নিয়ে গেছে পিএসজিতে।
সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেইমারের করা একটি মন্তব্য মেসির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাক্ষাৎকারে পিএসজি তারকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নিজের ছেলে হলে কী নাম রাখবেন তিনি। উত্তরে কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই এক শব্দে সেলেসাও স্ট্রাইকার বলেন, মেসি।
বন্ধু মেসির নামের সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের নাম রাখতে চাইলেও এখনই পুত্র সন্তানের পিতা হচ্ছেন না নেইমার। ব্রাজিল তারকার জীবন সঙ্গী ব্রুনা বিয়ানকার্দীর কোল জুড়ে শীঘ্রই একটি কন্যা সন্তান আসতে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতে পুত্র সন্তানের পিতা হবেন কিনা সেটা ঈশ্বরের হাতেই তোলা থাক। আপাতত দুজনের অমর বন্ধুত্ব দেখে চোখ জুড়িয়ে নিক সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমিরা।