নতুন কাঠামোতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসর। ৩২ দলের জায়গায় এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ৩৬ দল। তার পাশাপাশি সব দলকে একটি গ্রুপে রাখা হয়েছে। প্রথম ম্যাচ ডে’র প্রথম দিনেই ছয় ম্যাচে নামছে ১২টি দল। যেখানে সবার নজরে থাকবে এসি মিলান ও লিভারপুলের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।
ইউরোপের দুই পরাশক্তি ক্লাব ইতালির এসি মিলান এবং ইংল্যান্ডের লিভারপুল। ক্লাব ফুটবলে নানা ইতিহাস গড়া এই দুই দল ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসটাও দারুণ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে রিয়াল মাদ্রিদ সবচেয়ে সফল দল। ১৫ বার এই শিরোপা জিতেছে তারা। এর পরেই ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসি মিলান। সাতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি চারবার রানার্স আপও হয়েছে রসেনেরিরা।
এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে সফল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল দল লিভারপুল। ৬ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সফলতম দল অল রেডরা। এছাড়াও চারবার রানার্স আপ হয়েছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই সফল দল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচ ডে’র প্রথম দিনেই মুখোমুখি হচ্ছে। শিরোপার দিক থেকে লিভারপুলের চেয়ে এসি মিলান এগিয়ে থাকলেও, মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে অল রেডরা। এখন পর্যন্ত ইউরোপের এই দুই জায়ান্ট দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চারবার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে লিভারপুলের জয় দুইটিতে, একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর এসি মিলান জয় পেয়েছে এক ম্যাচে।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই দুই দলের প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছিল। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ২০০৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। তবে দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল শোধ করে। পরে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে শিরোপা জেতে লিভারপুল। এটি ছিল ১৯৬২ সালের বেনফিকা–রিয়াল মাদ্রিদ (৫-৩) ম্যাচের পর সবচেয়ে বেশি গোলের ইউরোপিয়ান ফাইনাল।
মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে এসি মিলান ও লিভারপুল। একই সময় ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।