ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড ব্যবধানে পরাজয় বাংলাদেশের। চেন্নাইতে ২৮০ রানের ব্যবধানে প্রথম টেস্ট হেরেছে টাইগাররা। এমন হারের পর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাঁটাচেরা হওয়াটা স্বাভাবিক। দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে বড় রান করার সুযোগ থাকলেও সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রশ্ন জেগেছে তার আঙুলের চোট নিয়ে। সবকিছুর উত্তর অবশ্য খোলাসা করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত বলেন, ‘আসলে অধিনায়ক হিসেবে সত্যি কথা বলতে প্লেয়ারদের মধ্যে যেটা দেখি যে, শুধু সাকিব ভাই বলে না, যে কতটুকু কষ্ট করছে। কামব্যাক করার জন্য যা যা করা দরকার তা করছে কিনা। দলের প্রতি ইনটেনশনটা কীরকম। আমি চেষ্টা করি (দেখার) যে অই প্লেয়ারটা দলকে দেওয়ার জন্য কতুটুকু প্রস্তুত, ১০০% কিনা। এটা অনেকে ভাবতে পারেন হয়ত সাকিব ভাই দেখে বলছি কিন্তু জিনিসটা এরকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই পর্যন্ত একই জিনিস আমি দেখার চেষ্টা করি। রান করছে কি করছে না এটার থেকে জরুরি আমার কাছে লাগে তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি চিন্তাভাবনা কেমন। সে দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসটা দেখে আমি খুশি। দলে যে ১৫-১৬ জন প্লেয়ার আছে সবার অই প্রস্তুতি বা কমিটমেন্ট দেখে আমি খুশি।’
পরে সাকিবের আঙুলের চোট নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা এটা আসলে ব্যাট করার সময় গ্লাভসে একটা বল লাগে যেটা হয়ত আপনারা দেখেছেন। যে কারণে ট্যাপটা পেঁচানো। আমি আসলে কখনও কোনো প্লেয়ারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা একটা টিম গেম। পুরা দলের অবদানে কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সবাই দল হিসেবে যদি আমরা অবদান রাখতে পারতাম হয়ত আরও ভালো কিছু হতে পারত। ফলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই।’
প্রথম ইনিংসে কেন দেরিতে বল করেন সাকিব সে ব্যাখা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বোলিংয়ের ব্যাপারে যা বললেন, প্রথম ইনিংসে ৩ পেসার খুবই দারুণ বোলিং করেছে। আমার প্রয়োজনই পড়েনি তাকে বোলিংয়ে আনার। এক পাশ থেকে মিরাজ ভালো বল করছিল। এটা একটা পরিকল্পনাই ছিল যত বেশি আমরা পেসারদের বল করাতে পারি। শুরুর ৬টা উইকেটও আমরা খুব তাড়াতাড়িই নিলাম। তো এইটাই প্ল্যান ছিল।’