আফগানিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ দল। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তামিম-শিহাবরা।
গত আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল জুনিয়র টাইগাররা। এবার তাদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার মিশন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১১৭ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১৬৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জুনিয়র টাইগাররা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ১৪ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ২৫ বলে ১৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার।
চতুর্থ উইকেটে শিহাব জেমসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে হাঁটতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি শিহাব। ৩৬ বলে ২৬ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত রিজান হোসেনের ৫ রান এবং আজিজুল হক তামিমের অপরাজিত ৬১ রানে ভর করে ১৬৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে আলী রাজা, আব্দুল শুবহান এবং নাভেদ আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান দল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উসমান খানকে সাজঘরে ফেরেন মারুফ মৃধা। এক ওভার পরে আরেক ওপেনার শাগজাইদকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন এই টাইগার পেসার। দুজনেই শূন্য রাতে আউট হন।
তিনে ব্যাট করতে নেমে সাদ বেগকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মাদ রেজাউল্লাহ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে করতে পারেননি দুইজনের কেউই। ৪১ বলে ১৮ রান করে সাদ বেগ আউট হলে, ২ রানে করে রান আউট হন নাভেদ আহমেদ খান।
এরপর ৬৫ বলে ২৮ রান করে রিজাউল্লাহ আউট হলে দলীয় ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ফারহান ইউসুফ। তবে হারুন আর্শাদ ১০ রানে আউট হলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি ইউসুফ। ৩২ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে ওমার জাইব (১), আব্দুল সুবহান (০) এবং আলী রিয়াজ শূন্য রানে আউট হলে ১৩ ওভার হাতে থাকতেই ১১৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন ইকবাল হোসেন। এ ছাড়াও মারুফ মৃধা দুটি, আল ফাহাদ এবং দেবাশীষ দেবা নেন একটি উইকেট।