গাঙ্গচিল বাহিনীর দলনেতা পেশাদার ডাকাত, খুনি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা পূর্ব থানাধীন হাউজবিল্ডিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ৫টি ডাকাতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রুহুল আমিন ওরফে লেদুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেদুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে সাভার মডেল থানাধীন আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙ্গচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। সাভারের পানি বেষ্টিত বিস্তর এলাকাকে আস্তানা বানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নামকরণ হয় গাঙ্গচিল বাহিনী। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে ব্যাপক পরিসরে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল এই বাহিনী।
আনোয়ার হোসেন আনার নিহতের পর গাঙ্গচিল বাহিনী কয়েকটি গ্রুপে ভেঙে গেলে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন লেদু। তার নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্যরা আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ২০১২ সালে শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত লেদুকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করে।
তিনি বলেন, লেদু বশির হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততাসহ আরও ৫টি ডাকাতি মামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধারণ করে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিলেন লেদু। এই সময় ক্রমাগত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করতেন তিনি।