ফেনী সদর উপজেলা ধলিয়ায় থেকে, পুলিশ, ইসরাত জাহান উর্মি নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের মা মনোয়ারা বেগমের দাবি করছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে দৌলতপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির নিহতের স্বামী কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমানের বসত ঘর থেকে উর্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উর্মি সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতান গ্রামের আব্দুল আবছারের মেয়ে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির কাতার প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। তারপর থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। সময়মত তাদের পছন্দমত কিছু না দিতে পারলে ঘরে এসব নিয়ে ঝগড়া করতো। মেয়েকে দেখতে গিয়েও প্রায় অপমানজনক কথাবার্তা শুনতে হয়েছে। শুক্রবার রাতেও তারা আমার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
নিহতের শ্বশুরবাড়ি সূত্র জানায়, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও উর্মি স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে যায়। সকাল থেকে তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তী পুলিশ ও তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।