বিশ্বে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। এমন বাস্তবতায় মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে এবার দেশের তিনটি বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো হলো- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। শনিবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মাঙ্কিপক্স নিয়ে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (HSIA) এ CAAB, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এয়ারলাইনস, রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (CDC) এবং বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং কোনো লক্ষণযুক্ত যাত্রী থাকলে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়। আগমনের ২১ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে যাত্রীদের ১০৬৫৫ নম্বরে কল করতেও অনুরোধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, HSIA স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। লিফলেট প্রদান করছে এবং আগমন স্বাস্থ্য ডেস্কগুলো ২৪/৭ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। HSIA আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানার আর্চওয়ে দ্বারা স্ক্রীন করছে। প্রয়োজন হলে লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (IDH) এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।
অপারেশনস মেম্বার এয়ার কমোডর এ এফ এম আতীকুজ্জামান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম কামরুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, HSIA, শেখ দাউদ আদনান, পরিচালক, CDC, ডিজিএইচএস, ডাঃ নাসির আহমেদ খান, সিনিয়র উপদেষ্টা, আইএইচআর, ডাঃ এএসএম আলমগীর, জাতীয় পেশাদার কর্মকর্তা, WHO, এওসি চেয়ারম্যান মিসেস দিলারা আহমেদ, HSIA স্বাস্থ্য বিভাগীয় ডাঃ শামীমা, এবং এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।